দেশে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ নেই: শ্রম সচিব
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১৬
ঢাকা: দেশে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে দাবি করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, কিন্তু নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। তবে আমরা আশা করছি যে, অসন্তোষ দূর হবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম সচিব বলেন, ১৯টি কারখানা নিয়ে সমস্যা ছিল। এর মধ্যে থেকে ছয়টি কারখানা আমরা চিহ্নিত করেছি। বাকিগুলোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
সমস্যাযুক্ত কারখানাগুলোর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বার্ডস নামের কোম্পানির শ্রমিকরা তিনদিন আশুলিয়ায় রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল; ডার্ট নামের অন্য একটি কোম্পানির শ্রমিকরা ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছিল না; সেটা আমরা এড্রেস করেছি। টিএনজেড গার্মেন্টস রিসেন্টলি ময়মনসিংহের রাস্তা বন্ধ করেছে- এগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। অলরেডি এসব কারখানায় এখন কোন অসন্তোষ নেই।
শ্রম সচিব বলেন, এছাড়া জেনারেশন নেক্সট যেটা চন্দ্রায় আছে, সেটার মালিক পক্ষ এখন তাদের বেতন দিচ্ছে। বেক্সিমকো আমরা এড্রেস করেছি।
তিনি বলেন, এর বাইরে দুয়েকটা জায়গা আছে, যেমন- নারায়ণগঞ্জের ক্রোনি গার্মেন্টস, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
শ্রম সচিব বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে বাংলাদেশে শ্রমিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ৷ আইএলও’র কিছু রোডম্যাপ রয়েছে ৷ এর বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউএসএ’র ১১ পয়েন্টের একটি ইস্যু রয়েছে ৷ ১১ পয়েন্টটি তারা আমাদেরকে দিয়েছিল৷ এসব বিষয়ে আমরা খুব খোলামেলা কথা বলেছি৷
তিনি জানান, ইউএসএ থেকে যে টিম এসেছে সেখানে ইউএস দূতাবাসসহ বেশকিছু ক্রেতারাও এসেছেন ৷ ১১ দফার বাইরেও বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূস ইউএন এসেম্বেলিতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে এইএলও এর মহাপরিচালকের সাথে তার বৈঠক হয়েছিল ৷ এছাড়াও আমেরিকার অনেক ব্র্যান্ড বায়ার সেখানে তার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন৷ ওই বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম আইন, লেবার রাইটসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা একটু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসছিলেন৷ রোববার বিকালে লেবার ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা যমুনাতে আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন৷ সেখানেও এসব বিষয় উঠে এসেছে ৷
সারাবাংলা/জেআর/আরএস