যশোরের সাবেক এসপিসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৯
যশোর: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় ও গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন শনিবার রাতে মামলা রেকর্ড হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর শহরের বারান্দীপাড়ার ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান নান্নু আদালতে পিটিশন মামলা করলে আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যশোরের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মিলু মিয়া বিশ্বাস, এসআই সোয়েব উদ্দিন আহম্মেদ, এসআই আজগর আলী, এসআই জামাল উদ্দিন, এএসআই ইসরাফিল হোসেন, কনস্টেবল রোকনুজ্জামান, সালাউদ্দিন, আজম, সবুজ, আব্দুল্লাহ আল কাফী, মোস্তাফিজুর রহমান, গোবিন্দ ও পুলিশের কথিত সোর্স রামনগর পুকুরকুল মাঠপাড়ার সোহরাব ডাক্তারের ছেলে আজিমুল হোসেন ও মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাসুদুর রহমান নান্নু একজন ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালের ৩১ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নির্দেশে অপর আসামিরা যশোর শহরের মণিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নান্নুকে। প্রথমে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আটক রেখে নির্যাতন করতে থাকে। এরপর তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দাবি করা হয় ৩০ লাখ টাকা। অন্যথায় ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দেয় আসামিরা। নিরুপায় হয়ে জিম্মি থাকা নান্নুর ছোট ভাই মাহামুদুর রহমান বাবু ১০ লাখ টাকা দেন আসামিদের হাতে। নান্নুকে সকালে ছেড়ে দেয়া হবে বলে স্বজনদের আশ্বাস দেয় আসামিরা।
পরে গভীর রাতে আসামিরা নান্নুর চোখ বেঁধে সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ির সামনে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে নান্নুর হ্যান্ডকাপ ও চোখ খুলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে বলা হয়। না হলে ৩০ লাখ টাকা দিতে বলে। এ সংবাদ পেয়ে নান্নুর ভাই আরও ৫ লাখ টাকা দেন আসামিদের হাতে। টাকা পাওয়ার পরও আসামিরা নান্নুর পায়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। গুলিবিদ্ধ নান্নুকে পুলিশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ফেলে রাখে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ পায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় নান্নুকে ঢাকায় নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে যশোর এনে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় নান্নু জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামিদের আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে থাকায় তিনি এ মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/এসআর
অপহরণ এসপির বিরুদ্ধে মামলা ক্তিপণ আদায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা