ট্রলারচালক হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩০
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে ট্রলার চালক আবু তালেব (৪০) হত্যা মামলায় আনিছ (২৫) নামের এক আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর আসামি সেলিম মিয়াকে (৩৪) দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর এ রায় দেন। এ সময় অপর ছয় আসামিককে খালাস দেওয়া হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হাছান ছারওয়ার্দী
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনিছ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ গ্রামের হাসমত আলী বেপারীর ছেলে। সেলিম মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার চিৎকার গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। রায়ের সময় সাজার আদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের আবু তালেব ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঘটনার আগে থেকে অভিযুক্ত আনিছ চালক আবু তালেবকে বিভিন্ন জায়গায় মালামাল নিতে বলতেন। কিন্তু আবু তালেব আনিছের কথায় রাজি হতেন না।
২০০৮ সালের ১৬ জুন সকালে আবু তালেবের বাড়ি গিয়ে আনিছ সিমেন্টের ভাড়া আছে বলে জানায়। দুপুর আনিছের কথায় আবু তালেব ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে যায়। নদী গিয়ে সে আর বাড়ি ফিরেনি। আত্নীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে সন্ধান করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় আনিছসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ২০ জুন গজারিয়া থানায় মামলা করেন আবু তালেবের স্ত্রী আয়েশা (২৮)। পরে নিখোঁজ তালেবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামি আনিছকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং জড়িত আসামিদের নাম বলেন।
আসামি আনিছের দেওয়া তথ্যে পুলিশ আসামি সেলিমকে গ্রেফতার করে আদালতে নিলে সেও দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ট্রলার চালক আবু তালেবকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন ও জড়িত অপরজনকে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এসআর