Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের শীতবস্ত্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১০

সুনামগঞ্জ: ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীত নিবারণে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। শীত থেকে বাঁচতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতারা ভিড় দেখা গেছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে শপিংমলগুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। সুনামগঞ্জের নিন্ম আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের শীতবস্ত্র।

সারা দেশেই শীত বেড়েছে। অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকে শীত পড়তে শুরু করে। পৌষ মাসে শীতের দাপট বাড়বে। শীত জেঁকে বসতে শুরু করায় গরম কাপড় কিনে শীত ঠেকানোর প্রস্তুতি চলছে।

বিজ্ঞাপন

গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ভিড় করছেন। এসব দোকানে বিক্রিও হচ্ছে বেশ। বিক্রেতারা বললেন, শীত যত বাড়বে ক্রেতাদের উপস্থিতিও তত বাড়বে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) শহরের কোর্ট পয়েন্ট, আলফাত স্কয়ার, শহীদ মিনার মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, দেদারসে পুরাতন কাপড় বিক্রি হচ্ছে। কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় সড়কের পশ্চিম পাশে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

ক্রেতা—বিক্রেতারা জানায়, পুরনো কাপড়ের দোকানে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক, ব্লেজার, কোট, জ্যাকেট, টি—শার্ট, সোয়েটার, ফুল হাতার গেঞ্জি, প্যান্ট, জিন্সের মোটা শার্ট, হুডি, মাফলার, কানটুপি, হাত ও পায়ের মোজা রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি।

কোর্ট পয়েন্ট এলাকার পুরাতন কাপড়র ব্যবসায়ী নুর হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এই বছর কাপড়ের দাম বেড়েছে। শীত যত বাড়ছে, বিক্রিও ততই বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি কম লাভে বেশি পরিমাণে কাপড় বিক্রি করতে। যাতে করে গরিব মানুষ শীতের কাপড় কিনতে পারে।

বিজ্ঞাপন

নরসিংপুর থেকে সুনামগঞ্জে এসেছেন সুহেল মিয়া। ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে তিনি কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় সড়কের পশ্চিম দিকে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে গিয়ে কাপড় দরদাম করছিলেন। জিন্সের ফুল হাতা শার্ট ১৫০ টাকায় কিনেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। শহরে অন্যান্য কাজ শেষ করে পুরাতন কাপড়ের দোকানে এসে নিজের জন্য একটি জিন্সের ফুল হাতার শার্ট কিনেছি। দামটা একটু বেশি হলেও, শার্টটি ভালো। নতুন কিনতে গেলে হাজার টাকা লাগতো।

টুকের বাজার থেকে এসেছেন ফয়সল মিয়া। কোর্টে কাজ শেষ করে বাচ্চাদের জন্য তিনটি ফুল প্যান্ট কিনেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীত পড়েছে। আমার তিন ছেলে—মেয়ে, তাদের জন্য আপাতত তিনটি ফুল প্যান্ট ১২০ টাকায় কিনেছি। নতুন প্যান্ট কিনতে হলে ছয়শ টাকা দরকার, এতো টাকা দিয়ে কাপড় কেনা আমার পক্ষে সম্ভব না।

তিনি বলেন, পুরাতন কাপড়ের দোকানেও দাম বেশি চায় ব্যবসায়ীরা।

অতিরিক্ত দাম রাখা প্রসঙ্গে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সারাবাংলা/এসআর

শীতবস্ত্র সুনামগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর