গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িকে পুরাকীর্তি ঘোষণা
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪১
ঢাকা: কোরআন শরিফের প্রথম বাংলা অনুবাদকারী ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের পাঁচদোনা গ্রামের বুরাইরহাট মৌজায় বাড়িটি অবস্থিত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেটে প্রকাশ করেছে। এতে বাড়িটিকে প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গিরিশ চন্দ্র সেনের ওই বাড়িটি দীর্ঘদিন অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে ছিল। বাড়ির একাংশ বেদখলও হয়ে যায়। পরে নরসিংদী প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ঐতিহ্য অন্বেষণের মাধ্যমে নরসিংদী জেলা প্রশাসন বাড়িটি সংস্কার করে জাদুঘরে রূপ দেয়।
গেজেট অনুযায়ী, পাঁচদোনার বুরাইরহাট মৌজার ০.০১৩৪ একর জমি এই প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষিত এলাকার আওতাভুক্ত। গেজেট বলা হয়েছে, ওই জমিটি রেকর্ডের আগেই ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন মৃত্যুবরণ করায় তার নামে খতিয়ানভুক্ত হয়নি। জমিটি আরএস রেকর্ড অনুযায়ী অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের দখলে আছে। ওই জমিতেই গিরিশ চন্দ্রের বাড়িটি অবস্থিত।
গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৩৪ সালে। ১৮৭১ সালে তিনি সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন। ১৮৭৬ সালে ৪২ বছর বয়সে তিনি মৌলভী এহসান আলীর কাছে আরবি ব্যাকরণ শেখেন। ১৮৮১ সালে কোরআন শরিফের প্রথম পারা বাংলা অনুবাদ করেন তিনি। শেরপুর চারুচন্দ্র প্রেস থেকে ওই অনুবাদ ছাপা হয়। আরও ছয় বছরের চেষ্টায় সম্পূর্ণ কোরআন শরিফের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করেন তিনি। বাংলা ভাষায় তার আগে কেউ কোরআন শরিফ অনুবাদ করতে পারেননি।
কোরআন শরিফ অমুবাদের জন্য মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ‘ভাই’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন গিরিশ চন্দ্র সেন। ১৯১০ সালের ১৫ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নরসিংদীর পাঁচদোনায় গ্রামের বাড়িতেই তার শেষকৃত্য করা হয়।
সারাবাংলা/টিআর/এইচআই
কোরআন শরিফের প্রথম বাংলা অনুবাদকারী ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়