ম্যাচ হেরেও যে কারণে খুশি মিরাজ
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:২৫
ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরো একটা টেস্ট হারল বাংলাদেশ। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গী হলো ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানের পরাজয়। টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে নিশ্চয়ই এমন কিছু চাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ম্যাচ হেরেও প্রাপ্তির খাতায় কিছু না কিছু লিখতে পেরে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক, অ্যান্টিগা টেস্টের পুরস্কার বিতরণীতেও কথা বললেন সেসব নিয়েই।
প্রথম ইনিংসে ২৬১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজকে বেশ চাপের মধ্যেই ফেলে দেন বাংলাদেশী বোলাররা। কিন্তু জাস্টিন গ্রেভস আর কেমার রোচের ১৪০ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামলে উঠে ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ইনিংসে পায় ৪৫০ রানের বড় সংগ্রহ।
মিরাজও বললেন, ভালো বোলিংয়ের পরেও গ্রেভস-রোচের সেই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন তারা। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার মোড়কে কিছু ইতিবাচক দিকও দেখছেন মিরাজ, ‘আমার মনে হয়, আমরা খুবই ভালো বোলিং করেছি, তাসকিন ৬ উইকেট নিয়েছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো জুটি পেয়েছে। ৭ উইকেট হারানোর পর তারা ১৪০ রানের জুটি পায়। আমার মনে হয় ম্যাচে আমরা ওখানে পিছিয়ে পড়েছি। এরপরও ইতিবাচক অনেক কিছু নেওয়ার আছে এই ম্যাচ থেকে। কিন্তু সত্যি বলতে এই ম্যাচে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। যদিও ম্যাচে এমন হতে পারে।’
উইন্ডিজ সফরে থাকা টেস্ট দলের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুমিনুল হক, লিটন দাস আর অধিনায়ক মিরাজই। জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দীপু, জাকের আলীরা সেই তুলনায় এখনো খুব বেশি পথ পাড়ি দেননি লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। অ্যান্টিগা টেস্টেও মুমিনুল, জাকের আর মিরাজ ছাড়া বাকি ব্যাটাররাও ছিলেন ব্যর্থ। বড় ইনিংস আসেনি কারো ব্যাট থেকেই।
জ্যামাইকাতে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টেস্টে কীভাবে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ এই ব্যাটিং ইউনিটের কাছ থেকে সেরাটা তুলে আনবেন? এমন প্রশ্নে মিরাজ শোনালেন ভুল শুধরে পরের ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা। মিরাজ বলেন, ‘আশা করি, আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। পরের ম্যাচে ভালো সুযোগ আছে। আমরা জানি এই ম্যাচে আমরা কী কী ভুল করেছি। আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। পরবর্তী ম্যাচে আমরা কীভাবে ভালো করবো, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। দলের মধ্যে এ নিয়ে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতার ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি তাসকিন আহমেদের অগ্নিঝরা বোলিং। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২ উইকেট পেলেও সেরাটা যেন জমিয়ে রেখেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য। ১৮১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা উইন্ডিজ পড়ে তাসকিনের তোপের মুখে। দারুণ সব ডেলিভারিতে একাই গুঁড়িয়ে দেন তাদের ব্যাটিং অর্ডার। প্রথমবারের মতো ইনিংসে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। বোলিং শেষ করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নিয়ে।
মিরাজের কন্ঠেও স্বস্তি ঝরল তাসকিনসহ বাকি পেসারদের পারফরম্যান্স এবং সর্বোপরি বোলিং ইউনিট নিয়ে। ‘এই মুহূর্তে আমাদের ভালো পেস বোলার আছে। আমাদের দলে তাসকিন, হাসান, নাহিদ রানার (এই ম্যাচে খেলেননি) মতো পেসার আছে। তারা খুবই ভালো বোলিং করেছে, গত কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের তাইজুলের মতো স্পিনারও আছে, প্রথম ইনিংসে সে খুবই ভালো বোলিং করেছে। বোলারদের নিয়ে আমি খুশি’, বলেন মিরাজ।
সারাবাংলা/জেটি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর মেহেদী হাসান মিরাজ