জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংসে বিশেষ যন্ত্র স্থাপন নিয়ে হাইকোর্টের রুল
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০৯
ঢাকা: জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণরোধের নিমিত্তে জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় নির্গমনের মান মেনে উপযুক্ত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সঙ্গে স্থাপিত ড্রাগ ডিসপোজাল ইনসিনারেটর মেশিন স্থাপনের জন্য বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে উক্ত যন্ত্র স্থাপনের কেন নির্দেশনা প্রদান করা হইবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য অধিদফত মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমান।
পরে তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ধারা ২৬(৪) অনুযায়ী জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। কিন্তু উক্ত ধ্বংসের সময় কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এমনকি বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫, বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর বিধিসমূহ মানা হয় না। জব্দকৃত অবৈধ মাদক দ্রব্য ধ্বংসের জন্য উপযুক্ত জায়গা ও যন্ত্র নির্ধারণ না থাকায় উন্মুক্ত স্থানেই জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে করে মাদকের উৎকট গন্ধে সেখানে টেকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এতে বিচারপ্রার্থী, পুলিশ, আইনজীবীসহ অন্যান্য সাধারণ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো প্রকার আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিবাদীদের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করেও কোনো সাড়া না পেয়ে গত ২৬ জুন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এইচআই