‘ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে’
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯
ঢাকা: ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ডিম আমদানির অনুমতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এরই মধ্যে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মনে করে, ডিম আমদানির অনুমতির কারণে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যা দেশের ডিম উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেইসঙ্গে দেশের পোল্ট্রি শিল্পও ক্ষতির মুখে পড়বে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘১০০ দিনে কাজের অগ্রগতি’ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যার প্রভাবে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। একইসঙ্গে ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম ছিল। ফলে ডিমের চাহিদাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। তাই ডিমের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। কিন্তু সেটা এখন নেই।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখা, দেশে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ ভেরিয়েন্ট নিউক্যাসেল ডিজিজ, ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস বা নতুন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘পোল্ট্রিতে কৃষির হারে বিদ্যুৎ বিল ও ব্যাংকের সুদের হার নির্ধারণের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া, পোল্ট্রি সেক্টর সংশ্লিষ্ট নয় এরকম ভুঁইফোঁড় সংগঠন ও ব্যক্তি কর্তৃক প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
প্রাণিসম্পদের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে এলডিডিপি প্রকল্পে বিশ্বব্যংকের ঋণের টাকা ১ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা (১০০ মিলিয়ন ডলার) ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ আমাদের দেশেই থাকবে। ইআরডি’র মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস