রয়টার্সসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সিএমপির
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪১
ঢাকা: সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার ও জামিন শুনানি ঘিরে আদালতসংলগ্ন সড়কে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
প্রতিবাদে সিএমপি বলছে, এসব প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একজন উপকমিশনারকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই উপকমিশনার এ ধরনের কোনো গণমাধ্যমকে বক্তব্য দেননি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইংয়ের মাধ্যমে সিএমপি এই প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান জানিয়েছে সিএমপি।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার ও জামিন শুনানি ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের উদ্ভুত পরিস্থিতির ওপর বিদেশি সংবাদমাধ্যম রয়টার্স মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে (জিএমটি+৬) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘One Killed in Bangladesh as Hindu protesters clash with police’ (বাংলাদেশে পুলিশের সঙ্গে হিন্দু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত) শিরোনামের প্রতিবেদনটি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) নজরে এসেছে। রিপোর্টটি পরে ভয়েস অব আমেরিকাসহ আরও অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
রয়টার্সসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার লিয়াকত আলী খানকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘A Muslim lawyer defending Das was killed amid protests outside the court [in Chittagong],’ said police officer Liaquat Ali. [(চট্টগ্রামে) আদালত চত্বরের বাইরে বিক্ষোভের সময় চিন্ময় দাসের পক্ষে দাঁড়ানো একজন মুসলিম আইনজীবী নিহত হয়েছেন।’
প্রতিবাদলিপিতে সিএমপি বলছে, রয়টার্স বা কোনো সাংবাদিক এ বিষয়ে উপকমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে কথা বলেননি। ঘটনার সময়ে তিনি আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে দায়িত্বরত ছিলেন।
সিএমপি আরও বলছে, লিয়াকত নামে চট্টগ্রামে চারজন কনস্টেবল আছে। তারাও কাউকে কোনো বক্তব্য দেননি। কারও বক্তব্য গ্রহণ না করেই নিজেদের মনগড়া বক্তব্যকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়া সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থি। ভবিষ্যতে রয়টার্সসহ সব গণমাধ্যম এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সিএমপি জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এর মধ্যে সাতজনকে হত্যায় জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
সারাবাংলা/টিআর