মোহাম্মদপুরে ফের ভয়াবহ ডাকাতি
২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে তিনটায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটায় ৩০-৪০ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এসে চাঁদ উদ্যান লাউতলা ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর টিনশেড বাড়িতে মই দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সবাইকে একটা রুমের ভিতর জিম্মী করে ফেলে। সবাইকে ওই রুমের ভেতর আটকে রেখে প্রতিটি রুমে ঢুকে ফ্রিজ, টিভি, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, সোনার অলংকারসহ আসবাবপত্র সব নিয়ে ভাংচুর চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
বাড়ির তত্ত্বাধায়কের দায়িত্বে থাকা নাসিমা বেগম জানান, ‘গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার ঘরে ১০-১৫ জন লোক দেশিয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে আমাকে জিম্মী করে ফেলে। এরপর আমার রুমের আলমারী, র্যাক, টিভিসহসব ভাংচুর করে টাকা পয়সা সোনার অলংকারসহ বাড়ির দলিল সব নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের সবাইকে বাড়ির একটা রুমের ভেতর আটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ বাড়িতে থাকা পাঁচজন ভাড়াটিয়া সবার ঘরে প্রবেশ করে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়।’
আরেক ভাড়াটিয়া কুলসুম শিকদার জানান, ‘আমার ঘরে ঢুকে ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, সোনার অলংকার ও টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে গেছে। এছাড়াও, ঘরের ভিতরে থাকা চাল,ডাল আসবাবপত্র সবকিছু নিয়ে গেছে। অবশিষ্ট আর কোনো কিছু রেখে যায় নি।’ একই কথা জানান, চাঁদনী আক্তার, রিণা বেগম ও আবেদা খাতুন নামের ভাড়াটিয়ারা। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির দুই গেইটে তালা লাগিয়ে ভাড়াটিয়াদের ভেতরে আটকে রেখে সবমালামাল গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়।
বাড়ির মালিক আল মীনা বেগম জানান, ‘আজ ভোর ৫টার দিকে লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে সকল ভাড়াটিয়ার টাকা, পয়সা, সোনার অলংকারসহ সকল আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে রেখে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় আমার বাড়ির ম্যানেজার মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহায়তা চাই।’
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ইনচার্জ (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, ‘এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সারাবাংলা/ইউজে/এইচআই