ইমরান খানের স্ত্রীর নেতৃত্বে বুধবার (২৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। সেসময় তাদের প্রায় এক হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তারা।
পরবর্তী সময়ে গ্রেফতারের বিষয়টি ইসলামাবাদ পুলিশের প্রধান নিশ্চিত করলেও গুলি করার বিষয়টি ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান আলী রিজভী অস্বীকার করেছেন। তার দাবি পুলিশ আধাসামরিক বাহিনীগুলোকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে।
আলী রিজভী বলেন, মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বরের) অভিযানে ৬০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তারের মোট সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৯৫৪।
পুলিশ প্রধান জানান, ঘটনাস্থল থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও কাঁদানে গ্যাসের বন্দুকসহ অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে এবং কয়েক ঘন্টার অভিযান শেষে বিক্ষোভস্থল ফাঁকা করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান খানের শীর্ষ সহযোগী ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন। তিনি গান্দাপুর বিক্ষোভে অংশ নিলেও পুলিশি অভিযান শুরুর পরপরই পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ও ইসলামাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।