খুলনা: দিনভর চলার পর বাস টার্মিনালে রাখা হয়েছিল বাসটি। রাতে সেই বাসেই ঘুমাচ্ছিলেন চালকের সহকারী। মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে বাসের মধ্যে একটি কয়েল জ্বালিয়ে দেন তিনি। সেই কয়েলই কাল হয়েছে। কয়েল থেকে আগুন ছড়িয়েছে বাসে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সেই সহকারী।বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঘটেছে এমন ঘটনা। সুন্দরবন পরিবহণের ওই বাসটিতে (ঢাকা মেট্রো ব-১১৬৪৬৯) আগুন লাগলে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে চালকের সহকারী মো. শরিফের (১৬)।
নিহত শরিফ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি খুলনা-ঢাকা রুটের সুন্দরবন পরিবহণে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তার মতো পরিবহণ শ্রমিকরা সাধারণত রাতে বাসেই রাত্রীযাপন করেন।
পরিবহণ শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখেন তারা। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা টার্মিনালে পৌঁছানোর আগেই বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। বাসে আটকা পড়ে শরিফের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবন পরিবহণের একটি বাসে হেলপার শরিফ ঘুমিয়ে ছিলেন। মশার কয়েল থেকে রাত ২টার দিকে বাসে আগুন লেগে যায়। এতে বাসটি পুড়ে গেছে এবং বাসের মধ্যে থাকা হেলপার শরিফের মৃত্যু হয়েছে।
শরিফের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।