Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুললো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৪ লেন, তবুও যানজটের শঙ্কা


১২ জুন ২০১৮ ২০:৫৭

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

টাঙ্গাইল: চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নির্মাণাধীন চার লেন সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার (১২ জুন) থেকে খুলে দেওয়া হয় এ সড়ক। তবে চার লেনে গাড়ি চলাচল শুরু হলেও ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও শ্রমিকরা।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাড়কের চার লেন প্রকল্পে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ২৬টি সেতু, ২০টি কালভার্ট, সাতটি আন্ডারপাস ও ১২টি পথচারীদের সেতু নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৩টি সেতু ও ২০টি কালভার্টের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে মির্জাপুরের পাকুল্লা ও কালিহাতীর পুংলী সেতুর কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ ভাগ। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এই দুই স্থানকে ঘিরে যানজট তৈরি হতে পারে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, যানজটের অপর নামে পরিণত হওয়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ২৬ জেলার ১৫ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদ মৌসুমে যানবাহনের চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে এই সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের।

এর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সড়কে দুর্ভোগ মাত্রা ছাড়িয়েছে। বিশেষ করে ট্রেন চলাচলের কারণে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৪ বার ব্যারিয়ার ফেলতে হওয়ায় ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকাকে ঘিরে যানজট তৈরি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সব সড়কে।

টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিমুল এহসান জানান, ১২ জুন থেকে মহাসড়কের ২৩টি ব্রিজের মধ্যে ২২টি ব্রিজসহ ৮০ ভাগ রাস্তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। তাই এবার মহাসড়কে যানজট হওয়ার সম্ভবনা কম।

তবে ভিন্ন কথা বলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। তিনি বলেন, চার লেনের সড়ক ৮০ ভাগ খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ২০ ভাগ গাড়িকে এক লেনে চলাচল করতে হবে। সেজন্য গাজীপুরের দিক থেকে আসতে মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় যানজট লাগার সম্ভাবনা বেশি। তবে যানজটমুক্তভাবে গাড়িগুলো পারাপার করতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস ঘারিন্দা এলাকাতেও যানজটের আশঙ্কা করছেন সঞ্জিত কুমার। তিনি বলেন, এখানে মহাসড়কে আন্ডারপাস ব্রিজের কাজের জন্য এক লেনে যানবাহন চলাচল করতে হবে। চার লেনের গাড়ি যখন এক লেনে চলে আসবে, তখন এখানে তীব্র যানজট তৈরি হতে পারে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, এলেঙ্গায় রাস্তার পাশে বাজার ও বাস স্ট্যান্ড থাকায় এখানেও যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি ও ওজন স্কেলে গাড়ি দীর্ঘ লাইন পড়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এসব দিক মাথায় রেখেই মহাসড়ক যানজটমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়ককে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চারটি সেক্টরে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্ট থাকবে, থাকবে মোটরবাইক মোবাইল টিমও। কোথাও যানজট লাগলে যেন এই টিম দ্রুত পৌঁছে যানজট নিরসনে কাজ করতে পারবে। এ জন্য ৩৬টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিমের প্রতিটিতে একজন করে এসআই ও একজন করে কনস্টেবল থাকবে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঈদযাত্রায় নির্বিঘ্ন রাখতে তিনটি তদারকি টিমও গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও ট্রাক শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা রয়েছেন এসব টিমে।

সঞ্জিত কুমার জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আট শতাধিক পুলিশ ও ১৯০ জন আনসারসহ দেড় শতাধিক লোকবল দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা যেন ছিনতাই, রাহাজানি ও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে না পড়েন, সেজন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

সারাবাংলা/টিএম/টিআর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর