Friday 29 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শেখ হাসিনা পালানোর পর ইসকনের তৎপরতা উদ্বেগজনক’

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট
২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৩

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ঢাকা: শেখ হাসিনা পালানোর পর ইসকনের তৎপরতা উদ্বেগজনক— এমনটিই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ছাত্রলীগের খুনীরা যখন বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করল, নিপুণ রায় চৌধুরীকে রাস্তার মাঝে ফেলে মাথা ফাটিয়ে দিল, তখন তো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রতিবাদ করতে দেখলাম না! তারাও তো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। বাংলাদেশে ইসকন নামে ভূঁইফোড় সংগঠনটিকে কখনও দেখিনি শেখ হাসিনার দুঃশাসনকালে একটি বিবৃতি দিতে! সুতরাং শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের (ইসকন) তৎপরতা উদ্বেগজনক, যা সারাদেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর সরকারের পতনের পর থেকে এদের (ইসকন) অস্বাভাবিক তৎপরতা বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে। তাদের কী দাবি? দাবি সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি সেটিও আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। তাদের দাবি নিয়ে দেশবাসীর কাছেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশে কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে ৭টি বিভাগীয় শহরে কর্মসূচি দিয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে। সর্বোপরি চট্টগ্রামে সাইফুল ইসলাম নামে একটি ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এগুলো কীসের ইঙ্গিত বহন করে? কী করতে চাচ্ছে তারা? আবার পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তার গ্রেফতার নিয়ে মুক্তি দাবি করেছে এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘যে সংগঠনের লোকজন একজন আইনজীবীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে, সেই সংগঠনের একজন নেতাকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদ জানিয়ে অন্যদেশ বিবৃতি দিচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কি আছে? এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বিবৃতিতে প্রমাণ হয় তারা বিশেষ কোনো মহলকে মদদ দিচ্ছে এবং বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, সে পরিবর্তনকে তারা মেনে নিতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তো লুট, সন্ত্রাস, দূর্নীতি গুম-খুনসহ ভয়ংকর অভিযোগে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়ে থাকে। চিন্ময় যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকে তিনি অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে আর নির্দোষ হলে খালাস পাবে। কিন্তু দেশের একজনের মুক্তির জন্য অন্যদেশের স্টেটমেন্ট বিরল।’

রিজভী বলেন, ‘যে ব্যক্তির জন্য তারা মুক্তি দাবি করছে, সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সে ব্যক্তিটি দেশের স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। কক্সবাজারের এক ওসি একজন মেজরকে গুলি করে হত্যা করেছিল। সে ওসি হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল। সে সময়ও আমরা দেখেছি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র তার পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করেছে। তাহলে কী অন্যায় করলেও কিছু করা যাবে না। এগুলো নিয়ে মানুষের মনে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

নি বলেন, ‘এই জাতির সার্বভৌমত্ব, বিশেষ করে ৫২ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অর্জনগুলোকে অবমাননা করা হচ্ছে। এটি কখনও এদেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না। তাদের আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। ভারত আমাদের স্বার্থে কখনো-ই কাজ করেনি। বাংলাদেশ ধ্বংস হোক, এতে তাদের কিছু আসে যায় না, এটি হচ্ছে দিল্লিঘোষিত নীতি। শেখ হাসিনা থাকলে তাদের অনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করতে কোনো সমস্যা হতো না। এদেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ যেহেতু কিছুটা স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে, বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারছে— এই জিনিসগুলো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের ভালো লাগছে না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এইচআই

ইসকন বিএনপি রুহুল কবির রিজভী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর