মিরপুরে বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ২
৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৫ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩০
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে একটি টিনসেড বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আব্দুল খলিলের(৪০) মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন মারা গেছেন তার স্ত্রী রুমা আক্তার(৩২)। এ নিয়ে ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ জন।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে মিরপুর-১১, ৫ নম্বর এভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সে ঘটনায় রঙ মিস্ত্রী খলিলসহ দগ্ধ হন তার স্ত্রী গৃহিণী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদ্রাসা ছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। আর পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)। তারা দুজনই গার্মেন্টস কর্মী।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রুমা আক্তার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমার শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে সেইসাথে তার শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিলো। গতরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন আছে রুমার ছেলে আব্দুল্লাহ ৩৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে, মোহাম্মদ ৩৫শতাংস ও ইসমাইলের ২০ শতাংশ দগ্ধ। আর প্রতিবেশী স্বপ্নার ১৪শতাংস। তবে তার স্বামী শাহজাহানকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
মৃত আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচী মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
খলিলের ভয়রা আব্দুল হালিম জানা, রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দেশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে যায় পরে নিজেরাই বাসার বাইরে বের হয়ে যান।
তিনি জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান। তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। তার জন্য বিস্ফোরণ হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনজে