পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মুন্নী সাহাকে
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৪৩ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯
ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘জনতা’র তোপে মুখ থেকে আটক করে হেফাজতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তার নামে থাকা মামলায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় মুন্নী সাহাকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, আটকও করা হয়নি। জনগণ তাকে ধরেছিল। তাই তাকে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় আমরা তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিচ্ছি।
এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে মুন্নী সাহা কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে নিজ অফিস থেকে বের হলে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ওই সময় বলেন, রাত ১০টার দিকে সাংবাদিক মুন্নী সাহা জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
দৈনিক আজকের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু মুন্নী সাহার। কাজ করেছেন ভোরের কাগজে, একুশে টিভিতে। পরে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজে কাজ করেন। ২০১৬ সালে এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক হন তিনি। গত বছর ২০২৩ সালের মে মাসে তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘এক টাকার খবরে’র সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি।
মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। এর মধ্যে জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনার মামলাটি উল্লেখযোগ্য। নাঈমের বাবা ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে সাত সাংবাদিকও ওই মামলার আসামি। তাদের মধ্যে একজন মুন্নী সাহা।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মুন্নীর বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও গত ৬ অক্টোবর তার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটি এক চিঠিতে তার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের সব তথ্য চায়।
এর আগে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর