জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল একটি ‘মিথ’
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪১ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:৫২
ঢাকা: বাংলাদেশের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে একটি মিথ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্নীতির শ্বেতপত্রে। বলা হয়েছে, ২০১০ এর দশকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং এবং সৌন্দর্যায়নের অংশ হিসেবে প্রদর্শিত প্রবৃদ্ধি বাড়ানো পরিসংখ্যানগতভাবে ব্যতিক্রমী ছিল। বিশেষ করে সমঅবস্থানের দেশগুলোর তুলনায়।
এটি সত্য যে, ওই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে একটি উন্নয়ন মডেল হিসাবে ব্র্যান্ডিং করার জন্য বিনিয়োগকারীদের নিঃসন্দেহে আকৃষ্ট করেছে। যারা এ তথ্য দেখে আকৃষ্ট হয়েছেন, তারা শেষ পর্যন্ত বিভ্রান্তও হয়েছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া শ্বেতপত্রে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ অন্যান্যরা এই শ্বেতপত্র তুলে দেন।
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব ছিল একটি ধাঁ ধাঁ র মতো। অর্থনীতি সরকারি পরিসংখ্যানের মাধ্যমে ফুলিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু তথ্য ঘনিষ্ঠভাবে যাচাই করলে দেখা যায়, এই ধরনের প্রবৃদ্ধি সম্পূর্ণভাবে ভুল। ২০১০-১৯ এর জিডিপি প্রবৃদ্ধির চিত্র একটি অজ্ঞাত উৎস থেকে এসেছে। এটা শুধুমাত্র ডাটা বা পদ্ধতির জন্য দায়ী নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস উইংয়ের সঙ্গে শ্বেতপত্র কমিটির আলোচনায় তথ্য প্রকাশে পক্ষপাতের উৎস স্পষ্ট হয়েছে।
শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, তৃতীয় পক্ষের যাচাই ছাড়াই সরকারি তথ্যের ওপর নির্ভরশীল ডাটা এবং পদ্ধতিগুলো আনুমানিক বাস্তব জিডিপির স্তরকে বিভিন্ন কার্যকলাপের ক্ষেত্রে কঠোর করে তোলে। অর্থনৈতির বিভিন্ন খাতের বাস্তব অবস্থা আড়াল করে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির উত্থান রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই হয়েছিল। যাতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রচারের জন্য একটি শক্তিশালী উদ্দীপনা ও মানসিকতা তৈরি করে।
শ্বেতপত্র কমিটি জানিয়েছে, উপর থেকে ক্রোধের ভয়ে, তারা আগের বছরের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে ভুল তথ্য দেওয়ার ভুল করার পথ বেছে নিয়েছিলেন। কারিগরি কমিটির মাধ্যমে বিবিএসের যে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ছিল তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে বলেও শ্বেতপত্র কমিটি মনে করে।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম