ঢাকা : শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছে, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা যাবে না। এরজন্য অন্তত দুই বছরের জন্য মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে-
প্রথমত: আগামী জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কী কী উদ্যোগ নেবে -সেগুলো স্পষ্ট করতে হবে। আরো বেশি দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে।
দ্বিতীয়ত: সরকারকে মধ্যমেয়াদে এমন পরিকল্পনা নিতে হবে যাতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষার মান এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকে এবং অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা যাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে পারেন।
তৃতীয়ত: অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। কেননা, সেখানে যেসব উচ্চাভিলাষি লক্ষ্য ধরা হয়েছে, সেগুলোর দায় কে নেবে -তা স্পষ্ট করতে হবে।
চতুর্থত: এলডিসি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। যদিও রপ্তানিকারকরা যারা বাজার সুবিধা পান, তারা নানাভাবে এটি পেছানোর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু সেটি হতে দেওয়া যাবে না। গোড়া খুঁজে দেখতে হবে যে, ওই ব্যবসায়ীদের মূল কোথায়? এছাড়া রাজনৈতিকভাবে পরে আওয়ামী লীগও বলবে যে, আমরা সোনার সংসার রেখে এসেছি দুই বছরে তারা সব শেষ করে দিয়েছে।
পঞ্চমত: সরকারের তথ্য উপাত্তের ঘাটতি আছে। এসডিজির সঠিক মূল্যায়নের জন্য সঠিক তথ্য উপাত্ত নিশ্চিত করতে হবে।
ষষ্ঠত: উন্নয়নসহযোগী সংস্থা বা দেশ এবং যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করি সব পক্ষকে নিয়ে দ্রুত বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) একটি বৈঠক করা দরকার।