এখনি শুরু হচ্ছে না ঢাকা-খুলনা নতুন রুটে রেল চলাচল
২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪২ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪১
ঢাকা: দিন ক্ষণ ঠিক করেও চালু করা যাচ্ছে না ঢাকা-খুলনা নতুন রুটে রেল চলাচল। ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে নতুন রুটে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের কথা ছিলো।
বাংলাদশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন এ প্রসঙ্গে জানান, জনবল সংকটের কারণে পদ্মাসেতু দিয়ে নতুন রুটে এখনই ট্রেন যাত্রা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। সময়সূচী চূড়ান্ত করে পরবর্তীতে জানানো হবে।
তবে ডিসেম্বরের যেকোনো সময়ে ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে- বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, খুলনা-ঢাকা নতুন রুটের দৈর্ঘ্য ২০৮ কিলোমিটার। আগে এই রুটের দৈর্ঘ্য ছিলো ৩৭৬ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ হওয়ায় এ রুটের দূরত্ব কমবে ১৬৮ কিলোমিটার। আর সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রুটের ট্রেন খুলনা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া, নড়াইল, মধুমতি সেতু, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রেন যশোর হয়ে বেনাপোল যাবে দুপুরে। বেনাপোল থেকে একই রুটে ঢাকায় ফিরবে। এরপর ঢাকা থেকে নড়াইল হয়ে বিকালে খুলনা ফিরবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় ১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যমান ছয়টি স্টেশনের উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন স্টেশন চালানোর জন্য এখনো লোকবল নিয়োগ হয়নি। ফলে স্টেশনসহ ট্রেন পরিচালনার কাজের জন্য আপাতত আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১০০ জনবল নেওয়া হবে। লোকবল না থাকায় সব স্টেশন চালু করতে পারবে না রেল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বাণিজ্যিক ট্রেন চালুর পর ভাঙ্গা জংশন স্টেশন আংশিক চালু হবে। অর্থাৎ ট্রেন দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো ও নামানোর কাজটি করা হবে। এর বাইরে শ্রীনগর, নগরকান্দা, মহেশপুর ও জামদিয়া স্টেশনগুলো প্রাথমিকভাবে চালু নাও হতে পারে। তবে বাণিজ্যিক ট্রেন চালুর আগে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১০০ লোক নিয়োগ দিতে না পারলে আরও অনেক স্টেশন বন্ধ থাকবে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে নতুন ট্রেনের জন্য সময়সূচি চূড়ান্ত করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে। কর্তৃপক্ষ বলছে, মাইলেজ ইস্যুতে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের আন্দোলনও নতুন ট্রেন চালু করার পথে আরেকটি বাধা।
রানিং স্টাফরা বলছেন, আইন অনুযায়ী- হেডকোয়ার্টারে তাদের ৮ ঘণ্টার ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম করার কথা। কিন্তু রেলওয়ের কর্মী সংকট থাকায় তারা ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বিশ্রাম করার পর আবার কাজে নেমে যান। রেলের কর্মীরা রেলের স্বার্থে কাজ করতে চান। কিন্তু রেলওয়ে তাদের স্বার্থের বিষয়ে আন্তরিক না থাকার কারণে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেমেছেন বলে জানান তারা।
সারাবাংলা/জেআর/আরএস