Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতিসংঘের প্লাস্টিক দূষণ রোধ সংক্রান্ত আলোচনা ব্যর্থ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১৭ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮

প্লাস্টিক দূষণের আন্তর্জাতিক আলোচনা কমিটির বৈঠকের সময় বুসানে সংঘটিত সমাবেশ

প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা মানব স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সমস্যার সমাধানে একটি বৈশ্বিক চুক্তি তৈরির লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বৈশ্বিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় দেশগুলো সোমবার (২ ডিসেম্বর) কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি। ১০০টিরও বেশি দেশ প্লাস্টিক উৎপাদন সীমিত করার পক্ষে থাকলেও কয়েকটি তেল উৎপাদক দেশ কেবল প্লাস্টিক বর্জ্য সীমিতের লক্ষ্য স্থির করতে চেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পঞ্চম আন্তঃসরকারি আলোচনা কমিটির (আইএনসি-৫) বৈঠকটি প্লাস্টিক দূষণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তি তৈরির উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে দেশগুলো চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোতে মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় এবং মূল সিদ্ধান্তগুলো মুলতবি রেখে ভবিষ্যতে ‘আইএনসি ৫.২’ নামে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসেন বলেন, ‘মতপার্থক্য এখনও স্পষ্ট।’

সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল প্লাস্টিক উৎপাদন সীমিত করা, প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য অর্থায়ন। পানামা প্রস্তাব করেছিল একটি বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে, যা ১০০টিরও বেশি দেশের সমর্থন পেয়েছিল।

বৈঠকের চেয়ারপারসন লুইস ভায়াস ভালদিভিয়েসোর প্রকাশিত একটি সংশোধিত নথি চুক্তির ভিত্তি হতে পারে, তবে এটি এখনও বিতর্কিত বিষয়গুলোতে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে পরিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

ছোট সংখ্যা হলেও পেট্রোকেমিক্যাল উৎপাদক দেশগুলো, যেমন- সৌদি আরব প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাসের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে এবং আলোচনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সৌদি আরব ছিল শীর্ষ পাঁচটি পলিমার উৎপাদক দেশ।

মতপার্থক্যের প্রভাব

এই মতবিরোধ দূর হলে এটি ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির পর পরিবেশ সুরক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে পারত। তবে আলোচনা মুলতবি হওয়ায় প্লাস্টিক দূষণ সমস্যার সমাধান আরও দীর্ঘায়িত হলো।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ইতিমধ্যেই মাইক্রোপ্লাস্টিক বাতাস, খাদ্য এবং মানব দুধেও পাওয়া গেছে।

পানামার প্রতিনিধি হুয়ান কার্লোস মন্টেরি গোমেজ বলেন, ‘আলোচনা স্থগিতের পর প্রত্যেকটা দিন পার করা মানে মানবতার বিরুদ্ধে একটি দিন হারানো। যখন আলোচনা পুনরায় শুরু হবে, তখন পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’

সারাবাংলা/এনজে

আলোচনা জাতিসংঘ প্লাস্টিক দূষণ সাউথ কোরিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর