সন্ধানী জাহাজ পরিদর্শন করেন মৎস্য উপদেষ্টা
২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২১
ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মৎস্য অধিদফতরের নিজস্ব জাহাজ আর ভি মিন সন্ধানী পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত মেরিন ফিশারিজ সার্ভিলেন্স চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে তিনি ওই জাহাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় আর ভি মিন সন্ধানী জাহাজ সম্পর্কে লে. ক শরফুদ্দিন এবং সামুদ্রিক মৎস্য জরীপ ব্যবস্হাপনা ইউনিটের সহকারী পরিচালক আল মামুন বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয় জাহাজটি শ্রিম্প সার্ভে (যার গভীরতা ১০-১০০ মিটার), ডেমারসাল সার্ভে (যার গভীরতা ১০-২০০ মিটার) ও পেলাজিক সার্ভে (যার গভীরতা ১০-২০০ মিটার) নিয়ে কাজ করে থাকে। জাহাজটি ৪৫৭ প্রজাতির মৎস্যসম্পদ চিহ্নিত ও রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে ৩৯৮ প্রজাতির মাছ, ২৭ প্রজাতির চিংড়ি, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া ও ১২ প্রজাতির মলাস্ক রয়েছে।
এর আগে উপদেষ্টা চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মেরিন সার্ভিলেন্স চেকপোস্ট পরিদর্শন এবং বৃক্ষরোপণ করেন। এসময় প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজের উপ প্রকল্প ড. মো. শরিফুল আযম। এতে বলা হয় প্রকল্পটি মৎস্য জরিপ এবং মজুদ নিরুপণে কাজ করে যাচ্ছে। নিরীক্ষণ নিয়ন্ত্রণ তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে মৎস্য নৌযান ও মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন ও লাইন্সেসিং প্রদান করা হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিট চট্টগ্রামের পরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, হালদা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আরভি মিন সন্ধানী হলো বাংলাদেশের একটি গবেষণা জাহাজ। এটি মূলত সামুদ্রিক গবেষণা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ মৎস্য অধিদফতরের অধীনে পরিচালিত এবং বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সামুদ্রিক সম্পদ, বিশেষত মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর অবস্থা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। জাহাজটি সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির গুণমান, এবং জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। এটি সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর