আগামী নির্বাচন কঠিন হতে যাচ্ছে: তারেক রহমান
২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১৬ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৪
ঢাকা: সামনের নির্বাচন অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে বলের দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২ নভেম্বর) খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা’ শীর্ষক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘হতে পারে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ দুর্বল। তারপরও সামনের নির্বাচন সহজ হবে না। আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। মানুষের ধ্যান-ধারণা পরিবর্তন হয়েছে। কেউ যদি ভুল করে থাকে, তাহলে তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। আমরা ক্ষমতায় যাইনি, যাব কি না জানি না। তখনই ক্ষমতায় যেতে পারব, যখন জনগণের সমর্থন পাব। নেতাকর্মীদের সব কর্মকাণ্ড হচ্ছে বিএনপির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে এমন হতে হবে, যাতে জনগণ আপনার সঙ্গে থাকে, বিএনপির সঙ্গে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলকে রক্ষা করা, সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সকলের। আপনাকে আপনার দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। বাংলাদেশের জনগণের আস্থা বিএনপির ওপর আছে। এটি ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার এবং আমাদের সকলের।’
তারেক রহমান বলেন, ‘৫ আগষ্টের পর অনেক মানুষ সংস্কার নিয়ে কথা বলছে। ৫ মাস আগেও এ নিয়ে কেউ কথা বলেনি। কিন্তু বিএনপি দুই বছর আগে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে কথা বলেছে। তখন কেউ জানত না স্বৈরাচার কখন বিদায় হবে। মানুষ সংস্কার নিয়ে যা যা বলছে, তা বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে আছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই। এটি বিএনপির একক প্রস্তাব নয়, সমমনা বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করে বিএনপির ২৭ দফা থেকে ৩১ দফা করা হয়েছে। এই ৩১ দফা দেশের সকল মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নারীর যোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করা উচিত। এটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা উচিত। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা ফ্রি করে দিয়েছিলেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করব। প্রান্তিক মানুষকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিনিমাম সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। এটি সব শ্রেণিপেশার মানুষ পাবে। ফ্যামিলি কার্ডটি পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তার মর্যাদা বাড়বে। আর যে অর্থ সাশ্রয় করবে সেই অর্থ সন্তানের স্বাস্থ্য ও লেখাপড়ায় ব্যয় করবে। এতে ভবিষ্যৎ সুন্দর একটি প্রজন্ম তৈরি হবে। সঞ্চিত অর্থ ৫ থেকে ১০ বছর পর তার অর্থনৈতিক শক্তি হবে।’
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আনিদ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়ার সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ড, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম