জ্যামাইকা টেস্টে ফাইফার
যে পরিকল্পনায় ৫ উইকেট পেলেন নাহিদ
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫২ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৫৭
প্রথম টেস্টে তাকে দলে না রাখায় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। ২২ বছর বয়সী তরুণ পেসার নাহিদ রানা দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে ঢুকেই করেছেন বাজিমাত। তৃতীয় দিনে নাহিদের দারুণ এক ফাইফারেই ১৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেলেও দিনশেষে ৫ উইকেট হাতে রেখে ২১১ রানের বড় লিডে ম্যাচে চালকের আসনে উল্টো বাংলাদেশই। ফাইফার পাওয়ার পর নাহিদ বলছেন, ‘লাইন টু লাইন’ বোলিংই তার সাফল্যের রহস্য।
জ্যামাইকাতে ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালেই বাংলাদেশ পেসারদের দাপটে দিশেহারা ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। এই আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন নাহিদ। তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার ও তাসকিন-হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অল্প পুঁজিতেই প্রথম ইনিংসে লিড পায় বাংলাদেশ। নাহিদের অবিশ্বাস্য সেই স্পেল প্রশংসা কুড়িয়েছে সবখানেই।
কোন জাদুবলে এমন বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন নাহিদ? ফাইফার পাওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি নিজেই জানিয়েছেন, শুধু লাইন বজায় রেখে বোলিং করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য, ‘প্রথমত উপরওয়ালার শুকরিয়া আদায় করতে চাই প্রথমবার ফাইফার পাওয়ার জন্য। বেশি কিছু চেষ্টা করিনি। শুধু চেষ্টা ছিল ব্যাটারকে জায়গা না দিয়ে লাইন টু লাইন বোলিং করার। পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি। এই উইকেটে লাইন টু লাইন বোলিং করলেই ব্যাটাররা অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। আমার মনে হয় বোলারদের বেশি কিছু চেষ্টা না করে এটাই করা উচিত।’
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২১১ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নাহিদের বিশ্বাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চতুর্থ ইনিংসে বিপদে ফেলতে পারবেন তারা, ‘আমরা এখন ভালো একটা জায়গায় আছি। আমরা যদি ২৫০ এর বেশি লিড নিতে পারি, চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন হবে ব্যাটারদের জন্য। উইকেটে বাউন্স থাকবে, স্পিনে টার্ন থাকবে। কাজেই আমরা চতুর্থ দিনে ভালো কিছু বের করব।’
সারাবাংলা/এফএম