Tuesday 03 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

' কেমন পুলিশ চাই' জরিপ
পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত দেখতে চান ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২২ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৮

ঢাকা: পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত দেখতে চান দেশের ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। একই সঙ্গে পুলিশকে নিরপেক্ষ ও আইনের প্রতি অনুগত এবং দুর্নীতিমুক্ত অবস্থায় দেখতে চান ৮৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং
৮৪ শতাংশ মানুষ।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের উদ্যোগে ‘ কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক এক জরিপের ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের এ জরিপে ২৪ হাজার ৪৪২ জন অংশ নেন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬ দশমিক ৬ শতাংশ। উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭ দশমিক ২ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং অন্যান্য ৭ দশমিক ১ শতাংশ।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ সালের ৫৪ ধারায় পুলিশকে প্রদত্ত বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতাকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। এজন্য ধারাটির যুগোপযোগী সংস্কার চান ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযোগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

জরিপের ফলাফলে আরো দেখা যায়, বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের শাস্তি চান ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ। ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮ দশমিক ২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জরিপে বলা হয়েছে, যেহেতু মানবাধিকার বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি স্পর্শকাতর ও সহানুভূতিপ্রবণ বিষয় হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধের শাস্তি সাধারণ নাগরিকের চেয়ে ইউনিফর্মধারী পুলিশ বাহিনীর জন্য দ্বিগুণ নির্ধারণ করে আইনভুক্ত করার জন্য জোর সুপারিশ করা হচ্ছে।

জরিপে দেখা যায়, সভাসমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতি গ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্হি মনে করেন ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ১০ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত।

জরিপে বলা হয়, সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সভাসমাবেশ আয়োজন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন ১৯৭৬-এর ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী পুলিশ কমিশনারকে অনুরুপ সমাবেশ জনস্বার্থে সর্ব্বোচ্চ ৩০ দিন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আয়োজনে পূর্ব অনুমতি গ্রহণের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে ৭১ দশমিক ২ ভাগ উত্তরদাতা বিধানটির পরিবর্তন চান। বিষয়টি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা যায় বলে মতামত অংশে বলা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/আরএস

পুলিশ বাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর