গাজায় জিম্মিদের মুক্তি না দিলে নরক পরিণতি: ট্রাম্প
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০১ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪২
আগামী জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই গাজায় জিম্মি হয়ে থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যকে নরকের মতো পরিণতি বরণ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নবনির্বাচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে দেওয়া এক পোস্টে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এটিই সর্বোচ্চ কঠোর হুঁশিয়ারি।
ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন আগামী ২০ জানুয়ারি। এর মধ্যেও বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই যেন যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, এমনটিই চাইছেন ট্রাম্প। এর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ প্রয়োগও করছেন তিনি।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, সবাই জিম্মিদের নিয়ে কথা বলছে, যাদের সারা বিশ্বের সবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে অত্যন্ত সহিংস ও অমানবিকভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সবাই কেবল কথাই বলছে, কেউ কোনো উদ্যোগই নেয়নি!
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, এটি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি, যেদিন আমি গর্বিতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করব, তার আগেই যদি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, মধ্যপ্রাচ্যকে এবং যারা এই মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের নরকের পরিণতি ভোগ করতে হবে।
দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ট্রাম্প লিখেছেন, এই অপরাধের জন্য (জিম্মি করা) যারা দায়ী, তাদের এত কঠোরভাবে আঘাত করা হবে যা নজির আমেরিকার সুদীর্ঘ ইতিহাসে আর একটিও নেই। এখনই জিম্মিদের মুক্ত করে দাও।
ওই পোস্টের মাধ্যমে ট্রাম্প এমন কিছু স্পষ্ট করেননি যে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীকে যুদ্ধে সরাসরি জড়াবেন কি না। জিম্মি বলতে ফিলিস্তিনি নাগরিকদেরও বুঝিয়েছেন কি না, সেটিও স্পষ্ট করেননি। তবে ট্রাম্প যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান চান, সেটি তার নির্বাচনি প্রচারের সময়েও বারবার বলেছেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে মার্কিন প্রশাসন গত ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এ সময়ের মধ্যে কূটনৈতিকভাবে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালিয়েও সাফল্য পাননি বাইডেন প্রশাসন। অন্যদিকে ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ হতো না। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই যুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা কেমন হবে, সেটি নিয়েই জল্পনা চলছে সবখানে।
সারাবাংলা/টিআর