Tuesday 03 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেন্টমার্টিনে প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার কমাতে সরকারি বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০৭ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১৬

ঢাকা: সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স-এর সহযোগিতায় দ্বীপে প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যায়ক্রমে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার মডেলের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা হবে, যা দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং জেলেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। একাজে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের সদস্য হিসেবে ব্র্যাক, ইউনিলিভার ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কাজ করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে দ্বীপটিতে যুব সমাজকে নিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্থানীয়দের এই কার্জক্রমে সম্পৃক্ত করতে নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বর্জ্য উৎপাদন হ্রাসকরণ এবং সংগৃহীত বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার্কুলার ইকোনমিক ধারনা বাস্তবায়ন করা হবে। দ্বীপে নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং উন্নত করার মাধ্যমে শূন্য-বর্জ্য ধারণাকে বাস্তবায়ন করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোটেল কর্মী, পরিবহন কর্মীসহ স্থানীয় সকল শ্রেণিপেশার জনগণের মতামত নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে। টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর এসইউপি ব্যবস্থাপনার জন্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কথোপকথন, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং সমন্বিত কর্মের সুবিধার্থে একটি সহযোগিতা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্রটি টেকসই অনুশীলনের পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ এবং প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে বলে মনে করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

এই উদ্যোগ সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় বাসিন্দা, হোটেল কর্মী, মৎস্যজীবী, পর্যটক, নৌযানকর্মী, সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা প্রকল্পটিকে সফল করে তুলবে। সেন্টমার্টিনে সফল হওয়ার পর কক্সবাজারে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিকে, সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিত করতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ একটি প্রতিনিধিদল নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাঁট পরিদর্শন করেছেন।

 

সারাবাংলা/জেআর/আরএস

প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার সেন্টমার্টিন দ্বীপ

বিজ্ঞাপন

তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৫০

আরো

সম্পর্কিত খবর