Tuesday 03 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পোশাক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাবে সব পক্ষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৬ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৭

ঢাকা: দেশের পোশাক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে মালিক, শ্রমিক ও সরকারসহ সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। মজুরি বা অন্য যে কোন ইস্যুতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোন দূরত্ব বা দ্বন্ধ তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিনিধি মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। কোন ধরনের শ্রম অসন্তোষ যেন না হয়, সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকবেন। কারখানায় হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পোশাক খাতের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পোশাক শিল্পের চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর, ডিসি ঢাকা জেলা, ডিসি গাজীপুর জেলা, ডিসি নারায়নগঞ্জ জেলা, ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, ডিবি ও পোশাক কারখানা প্রতিনিধিদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত এসেছে।

বিজিএমইএ এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন নবম পদাতিক ডিভিশন এর জিওসি মেজর জেনারেল মো. মইন খান। আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এর অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ। সভায় বিজিএমইএ পরিচালনায় গঠিত সহায়ক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিজিএমইএ এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে পোশাক শিল্পসহ সকল শিল্প কারখানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইন প্রয়াগকারী সংস্থাসমূহ যেভাবে ধৈর্য ও বিচক্ষনতা সহকারে কাজ করে যাচ্ছে, যেভাবে দেশের পুনর্গঠন ও অর্থনীতির পুনুরুদ্ধারে লিপ্ত হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বিজিএমইএ প্রশাসক পোশাক শিল্পসহ সকল শিল্প কারখানায় সুষ্ঠ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পকে ঝুট সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন প্রয়াগকারী সংস্থাসমূহের সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকে দেশের শিল্প কারখানাগুলোর বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কারখানার প্রতিনিধিরা শিল্পখাতের শান্তিপূর্ন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মজুরি বা অন্য যে কোন ইস্যুতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোন দূরত্ব বা দ্বন্ধ তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিনিধি মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। কোন ধরনের শ্রম অসন্তোষ যেন না হয়, সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকবেন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিল্পাঞ্চলে কারখানার নিরাপত্তা ও পরিবেশ নিশ্ছিদ্র রাখতে তৎপর আছে সেনাবাহিনী। সিসিটিভি এর মাধ্যমে সনাক্তকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যও কারখানাগুলোর প্রতি আহবান করা হয়।

মেজর জেনারেল মো. মইন খান পোশাক উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘সকল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিল্পের পাশেই রয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বর্তমানে গাজীপুর, সাভার-আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়নগঞ্জ ডিএমপি এলাকায় ৯৯ ভাগ কারখানায় পুর্নোদ্যমে কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার এই ক্ষণে পোশাক কারখানাগুলোতে সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ বজায় রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সেনাবাহিনী সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।’

ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। শিল্পে যে কোন ধরনের অরাজকতা করার চেষ্টা করলে, তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সভায় সব পক্ষ সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর

পোশাক খাতের শৃঙ্খলা বিজিএমইএ

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪

আরো

সম্পর্কিত খবর