‘আসন্ন হুমকি’ মোকাবিলায় সিরিয়ায় মার্কিন হামলা
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৪ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৫৮
সম্প্রতি সিরিয়ায় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সামরিক হামলা চালিয়েছে। এই হামলা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি একটি রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় পরিচালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার এক বিবৃতিতে জানান, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অস্ত্র ব্যবস্থা যেমন রকেট লঞ্চার এবং একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে, যা মার্কিন বাহিনীর জন্য ‘স্পষ্ট ও আসন্ন হুমকি’ তৈরি করেছিল। এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে, সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এক তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে, এতে যুদ্ধ পরিস্থিতি নতুন মোড় নিচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী দাবি করছে, মার্কিন বাহিনী কুর্দি-অধিকৃত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’র (এসডিএফ) সমর্থনে তাদের অবস্থানে হামলা করেছে।
প্যাট রাইডার বলেন, আক্রমণটি ছিল একটি রকেট নিক্ষেপের জবাব, যা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব সিরিয়ার মিত্র সহযোগিতা কেন্দ্র ইউফ্রেটেসের কাছাকাছি পড়েছিল।
এসডিএফ জানিয়েছে, তারা ইউফ্রেটিস নদীর পূর্বাঞ্চলের সাতটি গ্রামে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যা আইএসআইএসের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সম্ভাব্য হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের মতে, সিরিয়াতে প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং এসডিএফের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা কেবল আইএসআইএস মোকাবিলার লক্ষ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে সিরিয়ার সহিংস পরিস্থিতি এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
সিরিয়ায় সহিংসতা এবং ক্ষমতার লড়াইয়ে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। মার্কিন সামরিক উপস্থিতি এবং এসডিএফের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে সিরিয়ার রাজনৈতিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সারাবাংলা/ইআ