চকবজারে হাত পা বাঁধা ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৬ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৩
ঢাকা: রাজধানীর চকবাজারের একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকবাজার ইসলামবাগ আরএনডি রোড়ের একটি বাসার পাঁচ তলার রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, রাতে খবর পেয়ে ইসলামবাগের বাসা থেকে নজরুল ইসলামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ব্যক্তির হাত-পা, মুখ বাঁধা ও গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাপস জানান, ইসলামবাগ মাদ্রাসা গলিতে তার ভাইয়ের নজরুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এছাড়া শেয়ারে প্লাস্টিকের আরও একটি ব্যবসা আছে। গত শুক্রবারে স্ত্রী সুমি আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায়। এরপর থেকে বাসায় একাই ছিলেন নজরুল। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তার ওয়ার্কশপ থেকে বের হন তিনি।
পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তার বাসায় গিয়েও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। পরে ঘটনাটি ফোনে গ্রামে থাকা তার ছেলে এবং তার স্ত্রীকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে তার ছেলে ঢাকায় আসে। ছেলের কাছে থাকা চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে দ্রুত একটি রুম থেকে নজরুলের এনআইডি কার্ড নিয়ে তারা চকবাজার থানায় যান। তবে পুলিশ জিডি না নিলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাত দেড়টার দিকে বাসায় ফিরে আসেন তারা।
বাসায় ঢোকার পর অন্য একটি রুমে গিয়ে দেখতে পায় বিছানার উপর তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে খবর পেয়ে তাপসও ওই বাসায় গিয়ে দেখেন হাত-পা ও মুখ বাঁধা এবং তার লিঙ্গ কাটা অবস্থায় বিছানায় পরে আছেন। পরে তারা থানায় খবর দেন।
অভিযোগ করে তাপস জানান, ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছেন, গত সোমবার রাতে নজরুল বাসায় ঢুকেছেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালেই তার গাজীপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে দারোয়ান তাকে আর পরে দেখেননি। এরপর বাসায় কে বা কারা ঢুকেছে তিনি কিছুই জানেন না। তাদের ধারণা, এ ঘটনার সঙ্গে তার বাসার দারোয়ান অথবা মেনেজার অথবা পরিবারের কেউই জড়িত থাকতে পারে।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ