Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এবার দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তাব সংসদে


৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২১ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫২

ইউন সুক-ইওল

মার্শাল ল তথা সামরিক শাসন জারির কারণে এবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে এবার সংসদে অভিশংসনের প্রস্তাব এনেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই প্রস্তাবটি ভোটে উঠতে পারে। অভিশংসন প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হলে সরে দাঁড়াতে হবে প্রেসিডেন্ট ইউনকে।

এএফপির খবরে বলা হয়, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ দক্ষিণ কোরিয়ার ছয়টি বিরোধী দলের উদ্যোগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অভিশংসন প্রস্তাবটি সংসদে দাখিল করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলগুলোর মুখপাত্ররা বলছেন, জরুরিভিত্তিতে অভিশংসন প্রস্তাবটি তৈরি করে তা সংসদে পেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি ভোটে উঠলে সংসদে সেটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে।

এর আগে, মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে আমি জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’

আরও পড়ুন- হঠাৎ করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সামরিক শাসন জারি করেছিলেন কেন?

ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে বিরোধের জের ধরে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সামরিক আইন জারির এ ঘোষণার পরে সিউলে দক্ষিণ কোরিয়া সংসদের জাতীয় পরিষদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদের বাইরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হন। এক পর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন সেনা সদস্যরা। ভবনের ওপরে হেলিকপ্টারও নামতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

এ পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীকে এড়িয়ে সংসদে প্রবেশ করতে সক্ষম হন ১৯০ জন আইনপ্রণেতা। তারা সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য চাইলে সামরিক আইন অবশ্যই তুলে নিতে হবে। ফলে প্রেসিডেন্ট ইউনও সামরিক শাসন জারির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে জাতীয় পরিষদ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে এবং আমরা সামরিক আইন পরিচালনার জন্য মোতায়েন করা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করেছি।’

আরও পড়ুন- দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি

ইউন আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পরিষদের অনুরোধ মেনে নেব এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে সামরিক আইন তুলে নেব।’ পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ।

ইউন সুক ইওল দক্ষিণ কোরিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর