Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাড়ে ৩ বছর পর কারামুক্ত বাবুল আক্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৩ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:০৮

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: তিন বছর সাত মাস পর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এদিন বিকেল পাঁচটা ৩৫ মিনিটে পুলিশ পাহারায় বাবুল আক্তার কারাগার থেকে বের হন। একটি প্রাইভেটকারে করে বাবুল আক্তারকে কারাফটক থেকে বের হতে দেখা যায়। তার গাড়ির সামনে একটি পুলিশের গাড়ি তাকে নিরাপত্তা দিয়ে কারাফটক থেকে বের করে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে শনিবার (৩০ অক্টোবর) হাইকোর্ট বাবুল আক্তারকে জামিন দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।

বুধবার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাবুল আক্তারের জামিন হবে এমন খবর পেয়ে কারাগারের সামনে ভীড় জমিয়েছিলেন তার স্বজনরা। কিন্তু আদালত থেকে জামিনের নথি পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বের হতে পারেননি বাবুল আক্তার। সন্ধ্যা পর্যন্ত কারাফটকের সামনে অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হয়েছিল স্বজনদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুল আক্তারের মুক্তি পাওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই কারাফটকের সামনে ও এর আশপাশে ভীড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কারাগারের আশপাশে।

ঘটনাস্থলে থাকা বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্ত্রী হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে ষড়যন্ত্রভাবে জড়ানো হয়েছিল। উনাকে এ মামলার আসামি করা অস্বাভাবিক ছিল। মামলাটিও পিবিআইয়ের কাছে যাওয়া একটি রহস্য। মূল আসামিদের আড়ালে রেখে তাকে মামলায় আটক করে রাখা হয়েছিল। অবশেষে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ এবং জামিন পরোয়ানা পাঠানোর পরেও তিনদিন ধরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমি নিজে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। পরে ডাকযোগে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছি। উনাকে আটক করে রাখার বিষয়টি বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আদালতের মুক্তি পরোয়ানা পেয়েও কার হুকুমে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দি করে রেখেছে তা একমাত্র তারাই জানেন।’

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন স্বামী বাবুল আক্তার। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একইদিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেফতার করে পিবিআই। মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সংস্থাটি। মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে আছে।

সারাবাংলা/আইসি/এইচআই

এসপি বাবুল আক্তার বাবুল আক্তার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর