ঢাবি: ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আতঙ্কবাদী হামলার প্রতিবাদ, হামলাকারীদের গ্রেফতার পরবর্তী বিচার এবং বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা ভারতের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের সাথে সমতা ও নায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য। সহকারী হাইকমিশনে হামলার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। নয়তো বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের দূতাবাস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে সার্বভৌমত্বের বাংলাদেশ অর্জন করেছি আমরা। কিন্তু তখন থেকে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছিল। ২৪’ এর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনে সেটা কবর দিয়েছি। কিন্তু হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়ে পুনর্বাসন করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।’
তিনি ভারতের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন, তিনদিক থেকে ঘিরে আছেন। আপনাদেরকে চারদিকে ঘিরে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান চীনসহ অন্যান্য দেশ। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তারাও প্রতিবাদ করবে।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করে। তারা নাকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল। মূলত পাকিস্তান থেকে আলাদা করে বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে সেই আশায় তারা সহয়তা করেছিল।’
তিনি ভারতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানান এবং হাইকমিশনে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
হাসিনার পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যের পতন হয়েছে বলেন ঢাবি শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া। তিনি সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলকে এক থাকার আহ্বান জানান। শাকিল তার বক্তব্যে বলেন, ‘হাসিনা থাকাকালীন ভারত বাংলাদেশের বন্দরগুলো নামমাত্র মূল্যে ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন তা পারছে না। যার জন্য তাদের মাথা গরম হয়েছে।’
এসময় তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ১৬ বছর হতেই সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান সরকারকে। যেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজে আসে।