অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৫২ | আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৫৬
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যদের বিপুল ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নিয়োগের মাত্র তিন মাস পরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হলো।
বিরোধী দলগুলো অনাস্থা প্রস্তাব আনে, কারণ বার্নিয়ার তার বাজেট অনুমোদনের জন্য সংসদীয় ভোট এড়িয়ে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৬২ সালের পর প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন ঘটল।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সংসদ সদস্যদের ২৮৮টি ভোটের প্রয়োজন ছিল অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য। মোট ৩৩১ জন সদস্য এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন।
এখন বার্নিয়েরকে সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। যে বাজেট তার পতনের কারণ, সেটিও বাতিল হয়ে যাবে। তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না করা পর্যন্ত বার্নিয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বামপন্থী এবং ডানপন্থী উভয় পক্ষ এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। বার্নিয়ের সরকার সোমবার (৩ ডিসেম্বর) একটি রাষ্ট্রপতি ডিক্রি ব্যবহার করে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্কার প্রস্তাব পাশ করেন, যা সংসদে যথেষ্ট সমর্থন পায়নি।
সংসদে সর্বোচ্চ আসন জেতা বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) বার্নিয়ের বাজেট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বাজেটের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ইউরো ঘাটতি হ্রাসের পরিকল্পনা ছিল, যা বিরোধী দলগুলো অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছে।
ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) নেত্রী মেরিন লে পেন এই বাজেটকে ফরাসিদের জন্য বিষাক্ত বলে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পরাজয়ের পর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ দ্রুত নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। তবে বর্তমান সংসদে কোনো দল বা জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলতেই থাকবে।
ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, অনাস্থা ভোটের ফলে তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্যারিস সফরের আগে সরকার পুনর্গঠন করতে ম্যাক্রোঁর ওপর চাপ আরও বেড়েছে। নতুন সংসদীয় নির্বাচন জুলাইয়ের আগে সম্ভব নয়, তাই এই অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাবাংলা/এনজে