Thursday 26 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইনজীবী আলিফ খুন, প্রধান আসামি গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩১ | আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৩

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সেদিনের কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দনকে কিরিচ হাতে সাইফুলকে কোপ দিতে দেখা যায়। চন্দনের মাথায় ছিল হেলমেট।

পুলিশ জানিয়েছে, আইনজীবী আলিফ হত্যার পর চন্দন আত্মগোপনে চলে যান। ভৈরবে রেলস্টেশনের পাশে মেথরপট্টিতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চন্দনকে পুলিশ ভৈরব থেকে গ্রেফতার করেছে। ভৈরব থানা ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। আইনজীবী আলিফ হত্যায় তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হচ্ছে।

হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে দুর্বত্তরা।

এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেফতার রয়েছেন।

সারাবাংলা/আইসি/ইআ

আইনজীবী আলিফ হত্যা চট্টগ্রাম প্রধান আসামি গ্রেফতার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর