এলএনজি সরবরাহ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে শেল, বিপিসহ চার কোম্পানি
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩০ | আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১০
ঢাকা: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে নতুন তালিকা তৈরি হচ্ছে। আর সে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের চার কোম্পানি। সরকার খোলাবাজার থেকে এলএনজি সরবরাহকারীর যে তালিকা সম্প্রতি অনুমোদন করেছে সেখানে শেল, বিপি, আরামকো ও গ্লেনকোরের মতো বৈশ্বিক জ্বালানি কোম্পানিগুলোর নাম রয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা এলএনজি সরবরাহকারীদের তালিকা নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ ও বিতর্ক রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। যে কারনে নতুন তালিকা তৈরি করতে দরপত্র আহ্বান করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবছর বাংলাদেশ ৫০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করে থাকে। সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতার ও ওমান থেকে চড়া মূল্যে আমদানি করা এই গ্যাস মূলত ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে। তবে এর বাইরে খোলা বাজার থেকেও সরকার এলএনজি আমদানি করে। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ১০০টি এলএনজি কার্গো আমদানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কাতার ও ওমান থেকে আসে ৫০টির বেশি কার্গো।
জানা যায়, এলএনজি সরবরাহে প্রতিযোগিতা বাড়ানো ও খরচ কমানোর লক্ষ্যে এসব বড় জ্বালানি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, খোলা বাজার থেকে ভিটল, গুনভর ও এক্সিলারেটের মতো প্রতিষ্ঠান এলএনজি সরবরাহ করত। জ্বালানি খাতের বড় বড় কোম্পানি যেমন আরামকো, শেল ও বিপি এলএনজি সরবরাহের জন্য আবেদন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও বেশি প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ও খরচ বাঁচাতে আমরা খাতটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তবে কী পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে, তা নির্ভর করবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) কতটা এলএনজি কিনবে, এর ওপর।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষ বিধান আইন স্থগিতের ঘোষণা দেয় গত ১৮ আগস্ট। এতে বলা হয়, এ আইনের অধীনে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এরইমধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গৃহীত সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সারাবাংলা/জেআর/আরএস