স্বৈরাচার পতন দিবস আজ
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪০ | আপডেট: ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৫
ঢাকা: আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন দিবস। গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। এই দিনে অস্থায়ী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। মুক্তি পায় গণতন্ত্র।
তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ডা. শামসুল আলম খান মিলন, নূর হোসেনসহ অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল ও ওয়ার্কার্স পার্টি-জাসদের নেতৃত্বে পাঁচটি বাম দল ১৯৯০ সালের ২১ নভেম্বর যৌথভাবে একটি রূপরেখা ঘোষণা করেছিল। জামায়াত তিন–দলীয় জোটে না থাকলেও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তাল মিলিয়ে অংশ নিয়েছিল।
স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হলেও পরবর্তী সময়ে তিন জোটের বহুল আলোচিত সেই রূপরেখার বাস্তবায়ন হয়নি। পূর্ণ গণতন্ত্র, কার্যকর জাতীয় সংসদ, নাগরিকের মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করার বিষয়গুলো কার্যত অধরা রয়ে যায়।
বিএনপি এই দিনকে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে। আওয়ামী লীগ দিনটি পালন করত ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। আর এরশাদের জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারী এরশাদের দল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর একত্র হয়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে ক্রমাগতভাবে হরণ করেছিল। এই পরাজিত শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও অঙ্গসংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ