নারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১৮ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২০
আফগানিস্তানের তালেবান নারীদের চিকিৎসা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই নির্দেশ জারি করেছেন নির্দেশ জারি করেছেন তালেবান নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা।
চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে নারী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণ এখনো অপ্রকাশিত।
এদিকে, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) থেকেই নারী শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
হেরাত প্রদেশের একদল নারী শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) হেরাতের গভর্নরের অফিসে জড়ো হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট বন্ধের প্রতিবাদে তারা নানান স্লোগান দেন।
তালেবানের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্তকে ‘অজ্ঞতার একটি জঘন্য কাজ’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে৷
জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বুধবার এক বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘আফগানিস্তান ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, বিশেষ করে নারী স্বাস্থ্যকর্মীর মারাত্মক অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। এর ফলে জীবনহানি হবে।’
বিবৃতিতে নারীদের চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রদান অব্যাহত রাখতে তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করে এবং মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে।
আফগানিস্তানে নারী রোগীদের চিকিৎসা নারী চিকিৎসকদের মাধ্যমে করানোর প্রয়াসে ব্যতিক্রম ব্যবস্থা হিসেবে চিকিৎসা এবং নার্সিং ক্ষেত্রের একটি বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুমোদিত ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা জারির পরে নারী রোগীরা সেসব স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ