সামরিক আইনের জন্য ক্ষমা চাইলেন দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১৮ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০৭
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন ঘোষণার ব্যর্থ চেষ্টার কারণে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে টেলিভিশনে আকস্মিক ভাষণে ইউন সামরিক আইন ঘোষণা করেন। সামরিক শাসন জারির এই পদক্ষেপটি দেশটিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফেলেছে। তিনি বিরোধী দলকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত বলে অভিযুক্ত করেন। তবে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই আইনপ্রণেতারা সংসদে প্রবেশ করে এই ঘোষণা বাতিল করেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সংক্ষিপ্ত ভাষণে ইউন বলেন, ‘এই জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আমার হতাশা থেকে এসেছিল। আমি গভীরভাবে দুঃখিত এবং নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
ইউন আরও জানান, সামরিক আইন ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি ও রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়াবেন না। তবে সংবিধান সংশোধনের জন্য আর কোনো প্রচেষ্টা হবে না বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামরিক একনায়কত্বের অতীত স্মৃতি থেকে কোরিয়ান জনগণ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তার নিজ দল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের পক্ষে স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। তার পদত্যাগ অনিবার্য।’
এই পরিস্থিতিতে, ইউনের অভিশংসনের জন্য পার্লামেন্টে ভোট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক আইন ঘোষণার এই প্রচেষ্টা প্রেসিডেন্টের অবস্থানকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করেছে।
সারাবাংলা/এনজে