‘বন্দর বেসরকারিকরণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়’
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েকটি কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পাঁয়তারা রুখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন।’
বিএনপি সমর্থিত এ সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বিতর্কিত উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দোসরদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী এ চক্রান্ত তারা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেবে না। চট্টগ্রাম বন্দরকে বেসরকারিকরণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অবস্থান তুলে ধরেছে ‘চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন’। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংগঠনের সভাপতি মো. হারুন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিসিটি (নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল) ও সিসিটি (চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল) দুবাইভিত্তিক বেসরকারি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রূপরেখা প্রণয়ন করেছিল পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার উপদেষ্টা কুখ্যাত সালমান এফ রহমান। তাদের পতনের পর সেই রূপরেখা বাস্তবায়নের তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরই নিয়োগ করা দোসররা।
‘আমরা কিছুতেই এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হতে দেব না। আমরা মনে করি, এ ধরনের অপতৎপরতা চট্টগ্রাম বন্দর, দেশের অর্থনীতি এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মূখে ঠেলে দেবে। দেশের স্বার্থে, বন্দরকে রক্ষার স্বার্থে এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে এক বছরের মধ্যে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদিআরবের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া বাতিলে দাবিতে ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে মো. হারুন বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বন্দরকে বেসরকারিকরণের জন্য যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তাদের কাজ নয়। অন্তর্বর্তী সরকার রুটিন কাজ করবে। বন্দর কিভাবে পরিচালিত হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার। বন্দরকে বেসরকারিকরণের যে কোনো প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আমরা শ্রমিক-কর্মচারীরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’
সারাবাংলা/আরডি/ইআ