ঢাকা: অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারতের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে যে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না আমরা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন। সমাবেশ থেকে ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি পরিহার করে পররাষ্ট্র নীতিতে সমতা ফিরিয়ে আনা এবং বিগত সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
তারা বলেন, ‘আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকার অবমাননায় আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়েছে। আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশ মেনে নেবে না। রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ সমাবেশের আয়ো্জন করা হয়েছে। এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ রয়েছে। সুতরাং এটা অসম্প্রদায়িক দেশ। এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হবে না। এখন নীতি হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে। অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন হবে ভারতের সঙ্গেও তেমনই হবে। আগের মতো পররাষ্ট্রনীতি এখন আর হবে না।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাওয়া ক্লাব থেকে বের হয়ে মূল সড়ক দিয়ে জাহাঙ্গীর গেট পার হয়ে বিমানবাহিনীর তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্রের পাশ থেকে প্রদক্ষিণ করে ফের রাওয়া ক্লাবে এসে শেষ হয়।