দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করে পার্লামেন্টে চাপের মুখে তা প্রত্যাহারের দুই দিনের মাথায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তীব্রতর হয়েছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দিতে যখন ভোট শুরু হবে তখন সংসদ থেকে বের হয়ে গেছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা। সংসদ থেকে ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের বের হয়ে যাওয়ার মানে হলো অভিশংসন প্রস্তাব পাস হতে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন তা নাও হতে পারে।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাব পাস হতে কমপক্ষে ২০০ জন এমপির ভোটের প্রয়োজন। ভোটদান চলছে কিন্তু প্রস্তাবটি পাস করার জন্য যথেষ্ট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশেরও কম এখন সংসদে অবস্থান করছেন।
এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট এর ভাষণে ক্ষমা চেয়েছেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণে ইউন বলেন, ‘এই জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আমার হতাশা থেকে এসেছিল। আমি গভীরভাবে দুঃখিত এবং নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’