‘বিএনপির একক আন্দোলনে স্বৈরাচার পালায়নি’
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০০ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির একক আন্দোলনে স্বৈরাচার পালায়নি। সব দল ও মানুষ একত্রিত হয়েছিল বলেই স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিদায় হবে। তবে, জানা ছিল না কবে বিদায় হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে আস্থায় রাখতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনারা সকলে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করবেন। আপনারা প্রত্যেকে বিএনপির নেতা, অ্যাম্বাসেডর, বিএনপির প্রতিনিধি। যখন জনগণের সমর্থন নিয়ে আপনারা সরকার গঠন করতে পারবেন; ৩১ দফা অর্জনে কম বেশি আমরা তখনই করতে পারব। এজন্য ৩১ দফা জনগণের দ্বারে দ্বারে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি জানতে না পারে বিএনপি কী চায়, জনগণের জন্য কী ভাবে, ছাত্রদের জন্য কী ভাবে, নারীদের জন্য কী ভাবে, কৃষকের জন্য কী ভাবে, শ্রমিকের জন্য কী ভাবে, তাহলে আমাদের ওপর জনগণের সমর্থন থাকবে না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাই সব ব্যাপারে আমাদের সতর্ক করতে হবে। সবাই মিলে আমাদের কাজ করতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ওপর জনগণের আস্থা আছে বলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমরা যদি চুপচাপ বসে থাকি তাহলে কোনো কাজ হবে না। আমরা এমন কোনো ভুল চিন্তা বা কাজ যেন না করি যাতে আমরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। শুধু প্রধানমন্ত্রী কিংবা সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতা নয়, সমাজের সব পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল কোনো ব্যক্তি জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। শেখ হাসিনার সময় জবাবদিহিতা থাকলে ফরিদপুর থেকে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার হতে পারত না।’
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ৩১ দফা প্রণয়ন কমিটির সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং তারেক রহমানের উপদেষ্টা মেহেবী আমিন।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসকুর রহমান মাসুক, মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলী, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদারেছ আলী ইছা, সদস্য সচিব কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম