‘বাংলার আকাশ-পাতাল-ভূমি রক্ষায় ১৮ কোটি মানুষ প্রস্তুত’
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০২ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪
ঢাকা: ভারতের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলার আকাশ-পাতাল-ভূমি নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ প্রস্তুত। সব দিক দিয়ে দেশকে নিরাপদ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে জানি। আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আছে। দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিহত করতে তারা প্রস্তুত।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টন থেকে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ পদযাত্রা আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘‘আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। সুশৃঙ্খলভাবে আমরা এই পদযাত্রা করব। ভারত নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা কোনো প্রকার ফাঁদে পা দেব না। আাদের কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ দিকটা খেয়াল রাখবেন।’’
ভারতের মন ভালো নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে ভুটান নেই, নেপাল নেই। কেউ তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারে না। এখন বাংলাদেশকে নিয়েও তারা ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র তাদের জন্য বুমেরাং হবে। এরইমধ্যে তাদের নিউমর্কেট বন্ধ হয়ে গেছে, হাসপাতালে রোগী নেই, ক্লিনিকগুলো শূন্য। তাদের স্টেশনারী দোকানগুলো বন্ধ।’’
রিজভী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশি বড় দেশ হিসেবে ভারতে একটু বাজার করতে যায়, ঘুরতে যায়, চিকিৎসা নিতে যায়। কিন্তু ভারতকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ এখন আর পিছিয় নেই। তাদের ওখানের মতো আমাদের ডাক্তাররাও বড় বড় ডিগ্রিধারী। তাদের স্যানিটেশন ব্যবস্থার চেয়ে আমাদের স্যানিটেশন অনেক আল্ট্রামর্ডান। তাদের কলকাতা স্টেশন থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বাঁশঝাড়ে, ঝোপের মধ্যে এক বিরক্তিকর দৃশ্য দেখা যায়। বাংলাদেশ সেই দিক থেকে অনেক উন্নত।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশের জন্য তারা প্রতিক্ষায় থাকে। এত যে কথা বলে, তারা ইলিশ আমদানি বন্ধ করে না কেন? আসলে ভারত সবসময় বিদ্বেষ ছড়ায়। এরা বাংলাদেশকে সহ্য করতে পারে না।’
ভারতের ভিসা দেওয়া বন্ধ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কোনো লাভ নেই। ভিসা বন্ধ করে তো আমাদের উপকারই করেছে ভারত। ডলার পাচার হবে না। অনেক টাকা চলে যেত ভারতে যেতে আসতে। এখন টাকাও যাবে না। আর ভোগ্যপণ্য না দিলে দেশের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে ফসল উৎপন্ন করবে। আমাদের রিজার্ভ বাড়বে। এতে আমাদের লাভই হল। সীমান্তে কড়াকড়ি করায় আমাদেরই লাভ হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল আসত, মাদক আসত। এখন আসবে না।’’
রিজভী বলেন, আপনারা চট্টগ্রাম নেওয়ার কথা বলেছেন। তাহলে আমাদের বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরত দিন। আমরা এটা দাবি করছি।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ