ঢাকা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে দায়ের করা পাঁচটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে রোববার (৮ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বীধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আর ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরে ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের নামে করা পাঁচটি মামলা গত অক্টোবরে হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছিলেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) আবেদন করে। আজ আদালত শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলো।
এর আগে, এ মামলাগুলো বাতিলে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গত ২৪ অক্টোবর পৃথক রায় দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যা আজ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভগ।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন জনের নামে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। তারা হলেন- আব্দুস সালাম, শাহ আলম ও এমরানুল হক। একই বছর হোসাইন আহমেদ ও আব্দুর গফুর নামে আরও দুইজনও মামলা করেন।
পরে এসব মামলা বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে রুল জারি করেছিলেন। এরপর পৃথক শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা পাঁচটি মামলা বাতিল করে দেন।