দেশে কর্মরত বিদেশিরা বৈধতা না নিলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৮ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২০
ঢাকা: বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের যারা অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বৈধ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যারা বৈধতা নেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
দেশে কী পরিমাণ বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে অবস্থান করছেন ও কর্মরত রয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তথ্য বলছে, এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই তালিকা করছে বলে জানা গেছে একাধিক সূত্রে।
অবৈধভাবে অবস্থানরত ও কর্মরত বিদেশিদের সংখ্যা উল্লেখ না করলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে, অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এসব বিদেশি নাগরিককে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে দেশে অবস্থানরত ও অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থান বা কর্মরত থাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বৈধ না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রোববার (৮ ডিসেম্বর) থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ওই সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, কোনো বিদেশিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। এটি হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নয়। কতজন বিদেশি আছেন, কোন কোন দেশের বিদেশিরা আছেন, সেই তালিকা পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তারা কত দিন পর্যন্ত এ দেশে থাকতে পারবেন।
এর আগে গত মে মাসে এসব বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন চার শিক্ষার্থী। এসব অবৈধ বিদেশি কর্মী ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয় ওই রিটে।
সারাবাংলা/টিআর/এনজে