বিআইডিএস’র গবেষণা
প্রযুক্তির ব্যবহার ৫০% বাড়লে চাকরি হারাতে পারে ১৮ লাখ মানুষ
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪২
ঢাকা: দেশে প্রযুক্তিগত দক্ষতার ব্যবহার ৫০ শতাংশ বাড়লে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে (আরএমজি)।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ ডিসেম্বর) আয়োজিত ‘প্রযুক্তি, সাপ্লাই চেইন ও প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক অধিবেশনে উপস্থাপন করা গবেষণাপত্রে এ কথা বলা হয়।
যৌথভাবে গবেষণাপত্রটি তৈরি করেন বিআইডিএস’র গবেষক ড. মনজুর হোসেন, ড. কাজী ইকবাল ও জায়েদ বিন সাত্তার। অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ জহির।
বিআইডিএস’র গবেষণা সহযোগী ফারহিন ইসলাম জানান, শুধুমাত্র আরএমজি খাতে ১০ লাখ চাকরি হারানোর আশঙ্কা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে- অধাতু, খাদ্যপণ্য, চামড়া ও চামড়া সামগ্রী, ফার্নিচার, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্লাস্টিক ও রাবার শিল্প।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ হিসাব করেছি এটা ধরে নিয়ে যে, উৎপাদন খাতে কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ৫০ শতাংশ বাড়লেও চাকরি ক্ষতির পরিমাণকে ছাড়িয়ে গিয়ে ২০ লাখেরও বেশি চাকরি সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কাগজেরপণ্য, কোক এবং পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, অ-ধাতু খনিজ পণ্য, এবং কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স নির্মাণ খাতে চাকরি বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শ্রমশক্তির উন্নয়ন জরুরি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যতটা বেকারত্ব আমরা অনুমান করেছি, তা শ্রম প্রতিস্থাপনকারী প্রযুক্তির চেয়ে শ্রম-বর্ধনকারী প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কম হবে। তবে যদি আমরা শ্রমশক্তিকে দক্ষ করে তুলতে পারি, তাহলে উৎপাদন বাড়াতে পারব। সেইসঙ্গে চাকরি বজায় রাখতে পারব।’ সরকারকে শ্রমশক্তি উন্নয়নের জন্য সরকারের আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ফারহিন ইসলাম।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, ‘প্রযুক্তির প্রভাব কীভাবে লিঙ্গভিত্তিক কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলতে পারে, সেটিও গবেষণার বিষয় হওয়া উচিত।’
অধিবেশনে আলোচকরা বলেন যে, প্রযুক্তি গ্রহণের সময় তার সামাজিক প্রভাব বিবেচনায় নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস/পিটিএম