কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বদলে সিএমপিতে ‘সিটিজেনস ফোরাম’
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৩ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের নিয়ে গঠিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ নাম পাল্টে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করেছে। ‘সিটিজেনস ফোরাম’ নামে এখন সংগঠনটির কার্যক্রম চলবে, যার নতুন কমিটিও গঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস শেডে এক অনুষ্ঠানে ‘সিটিজেনস ফোরাম’র উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
অনুষ্ঠানে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সিটিজেনস ফোরাম কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আরেকরূপ। এর কাজের ব্যাপ্তি আরেকটু বড় পরিসরে হবে। পুলিশিংয়ের উদ্ভব ইউরোপিয়ান কনসেপ্ট থেকে। আমরা যারা এখন পুলিশিংয়ের কাজ করেছি, আগে এগুলো মিলিটারিরা করতো। ইউরোপে বড় বড় বিক্ষোভ প্রশমনের জন্য আর্মি ব্যবহার হতো। আর্মি খুব ইফেক্টিভ রোল প্লে করতে পারে না। কারণ তাদের ট্রেনিং বহিঃশত্রুদের জন্য, নিজের দেশের বিক্ষোভকারীদের দমনের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের নতুন করে নাম বলছি সিটিজেনস ফোরাম। থানাভিত্তিক কমিটিগুলো নিজেদের মতো আলাপ-আলোচনা করবে। প্রত্যেক থানায় তাদের বসার ব্যবস্থা থাকবে।’
সিটিজেনস ফোরামের সদস্যদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ওসিদের সঙ্গে কো-অপারেট করবেন। তাদের বলবেন আপনাদের রিকুয়ারমেন্ট কি ? অবৈধ ট্যাক্সিস্ট্যান্ড, ফলমূলের দোকান, চাঁদাবাজি, চাঁদাবাজ নির্মূল করা- এসব উদ্যোগ আপনাদের মধ্য থেকেই আসা উচিৎ। জনগণ থানা পুলিশের সেবা পাচ্ছে কি না, সেগুলো আপনারা ডিসি-ক্রাইমের মধ্যে সিএমপি হেডকোয়ার্টারকে অবহিত করবেন।’
‘এটা সিটিজেনস ফোরাম, নামটা খেয়াল রাখবেন। এটা পলিটিক্যাল কিছু নয়, অরাজনৈতিক সংগঠন। বিভিন্ন ধর্মের, শ্রেণির, পেশার মানুষকে নিয়ে সিটিজেনস ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন যাতে ঘটে, আমরা এটা চাই।’
অনুষ্ঠানে নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মো. হুমায়ুন কবির, উপ- কমিশনার (সদর) এস এম মোস্তাইন হোসেন, সিটজেনস্ ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোহাম্মদ মশিউল আলম স্বপন ও সদস্য সচিব ডা. আবু নাছের উপস্থিত ছিলেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, সিটিজেনস ফোরামের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ছাড়াও ১৬ থানায় আলাদাভাবে ১৬টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগরে সদস্য সংখ্যা ৮৬ জন।
এছাড়া কোতোয়ালী থানায় ৪৫, সদরঘাট থানার ৫০, চকবাজার থানায় ৫০, বাকলিয়া থানায় ৪১, খুলশী থানায় ৫৩, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ৫১, পাঁচলাইশ থানায় ৪২, চান্দগাঁও থানায় ৩৫, পাহাড়তলী থানায় ৩৬, আকবর শাহ্ থানায় ৪৫, হালিশহর থানায় ৫৮, ডবলমুরিং থানায় ৪৯, বন্দর থানায় ৩৭, ইপিজেড থানায় ৩৬, পতেঙ্গা থানায় ২৯ এবং কর্ণফুলী থানায় ৩১ সদস্য নিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিগুলোর ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মো. রইছ উদ্দিন।
সারাবাংলা/আরডি/এমপি