দিল্লির ৪০ স্কুলে বোমা হামলার হুমকি
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫২ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২৪
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে একযোগে ৪০টিরও বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। একেকটি স্কুলের কাছে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৬ লাখ টাকা) দাবি করা হয়েছে। ইমেইলে বলা হয়েছে, এই টাকা না দিলে বোমাগুলো বিস্ফোরিত করা হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে এসব স্কুল বোমা হামলার হুমকি দেওয়া ইমেইলের কথা পুলিশকে জানিয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে স্কুলগুলো থেকে সব শিক্ষার্থীকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ইমেইল পাঠিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি দিল্লি পুলিশ।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, দিল্লি পাবলিক স্কুল আর কে পুরাম ও জিডি গোয়েংকা স্কুল প্রথম এই ইমেইল পাওয়ার খবর পুলিশকে জানায়৷ ইমেইলে উল্লেখ করা হয়েছে, লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণে স্কুল ভবনের বড় ক্ষতি না হলেও অনেকে আহত হবেন।
পুলিশের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ইমেইলের বক্তব্য ছাপিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই। ইমেইলে বলা হয়েছে, ‘(স্কুল) ভবনের ভেতরে অনেকগুলো বোমা রাখা হয়েছে। সেগুলো অত্যন্ত ছোট এবং লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরিত হলে স্কুল ভবনের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে অনেকে আহত হবেন। ৩০ হাজার ডলার না পেলে বোমাগুলো ফাটিয়ে দেবো।’
আর কে পুরাম ও জিডি গোয়েংকা ছাড়াও মাদার ম্যারি স্কুল, ব্রিটিশ স্কুল, সালওয়ান পাবলিক স্কুল, ক্যামব্রিজ স্কুলসহ ৪০টির বেশি স্কুল পেয়েছে এই ইমেইল। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে ইমেইলগুলো পাঠানো হয়। সকালে স্কুল খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে ইমেইলের খবর জানাজানি হলে কেন্দ্র সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশি মারলেনা। এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে তিনি বলেন, মুক্তিপণ, হত্যা, গোলাগুলির পর এখন দিল্লির স্কুলগুলোকে বোমা হামলার হুমকি দেওয় হচ্ছে। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগে কখনোই এত খারাপ ছিল না। দিল্লির জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার যে একমাত্র দায়িত্ব বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের রয়েছে, তারা সেই দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর তীব্র সমালোচনা করেছেন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিক থেকে দিল্লির অধিবাসীরা আগে কখনোই এত বজে সময় কাটায়নি। এর জন্য অমিত শাহকে দিল্লির মানুষের কাছে জবাবদিহি করা উচিত।
সারাবাংলা/টিআর