জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮.২৪ শতাংশ গ্র্যাজুয়েট বেকার : বিআইডিএস গবেষণা
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০৯ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৯
ঢাকা : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। নারী ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি। অন্যদিকে যারা চাকরি করেন, তাদের অধিকাংশই কম আয়ের চাকরিতে নিয়োজিত।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এর চারদিনব্যাপী চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সেশনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিআইডিএস’র গবেষণা পরিচালক এসএম জুলফিকার আলী কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের বেকারত্ব নিয়ে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কলেজগুলো মধ্যে ৬০৮টি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন, এর মধ্যে বিআইডিএস ৬১টি কলেজ বেছে নিয়েছে। এই গবেষণায় ১,৩৪০ জন পাস করা শিক্ষার্থী, ৬৭০ জন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, ৬১ জন কলেজ অধ্যক্ষ এবং ১০০ জন চাকরিদাতা অংশ নেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্নাতক সম্পন্ন হয় ব্যবসায় শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়ের ওপর, যেখানে বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের হার অনেক কম (স্নাতকে ৩.৮২ শতাংশ, স্নাতকোত্তরে ৩.১০ শতাংশ)। পাশাপাশি, প্রায় ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বেতনভোগী চাকরিতে এবং ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। বেকারদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি এবং গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হারও বেশি। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি, তবে কারিগরি ও দাখিল শিক্ষায় এই হার কম।
গবেষণায় দেখা যায়, পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশ শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত এবং অনেকেই অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসারের পদে চাকরি করছেন। সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা ৪৩ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর, যেখানে অধিকাংশের লক্ষ্য সরকারি চাকরিতে যোগদান করা।
গবেষণায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যার কথাও ওঠে এসেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- কলেজগুলোর মান কম, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ইনসেনটিভের অভাব এবং চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার অভাব।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস