দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৮ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৫৩
সামরিক আইন জারির চেষ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির কতৃপক্ষ। ৩ ডিসেম্বর তিনি স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন ঘোষণা করেছিলেন, যা বর্তমানে তদন্তাধীন।
দুর্নীতি তদন্ত বিভাগের প্রধান ওহ ডং-উন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট ইউনের জন্য বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন।
ইউন গত সপ্তাহান্তে তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে উত্থাপিত অভিশংসন প্রস্তাবও সূক্ষ্মভাবে এড়িয়ে যান। তার দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)-এর এমপিরা ভোট বয়কট করায় প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়।
পিপিপি সদস্যরা জানান, ইউন তার মেয়াদ সংক্ষিপ্ত করতে এবং বিদেশ ও দেশের বিষয় থেকে বিরত থাকতে সম্মত হওয়ায় তারা অভিশংসনের প্রস্তাবটি তারা সমর্থন করেননি।
তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এই চুক্তির সমালোচনা করেছে। তাদের নেতা পার্ক চ্যান-দাই এটিকে অবৈধ, অসাংবিধানিক দ্বিতীয় বিদ্রোহ এবং দ্বিতীয় অভ্যুত্থান বলে অভিহিত করেছেন। ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছেন এবং তার পদত্যাগ বা অভিশংসনের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, ব্যর্থ অভিশংসন প্রস্তাব সত্ত্বেও, সামরিক আইন ঘোষণার সাথে যুক্ত কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন, যিনি ইউনকে সামরিক আইন প্রস্তাব করেছিলেন, রোববার (৮ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। এর আগে, ৪ ডিসেম্বর তিনি দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন।
কিম, লি, প্রতিরক্ষা কাউন্টারইন্টেলিজেন্স কমান্ডার ইয়ো ইন-হিউং এবং সেনাবাহিনী প্রধান পার্ক আন-সু’র উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও অনেকেই তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে রোববার (৮ ডিসেম্বর) প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি সাং-মিনও পদত্যাগ করেছেন। ৪ ডিসেম্বর ইউনের অফিসের ঊর্ধ্বতন সহকারীরা সামরিক আইন প্রত্যাহারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গণপদত্যাগ করেছেন।
সারাবাংলা/এনজে